ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি থেকে পেছানোর বা কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরান যদি এ থেকে পিছিয়ে যায় তাহলে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন বলেও সতর্কতা দিয়েছেন তিনি।
গত মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে দখলদার ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে ইরান।
খামেনির দাবি, শত্রুরা স্নায়ু যুদ্ধের মাধ্যমে ইরানকে চাপ দিচ্ছে যেন তারা ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে। ৮৬ বছর বয়সী এ নেতা বলেছেন, “ইরান যদি ইসরায়েলের উপর সামরিক, রাজনৈতিক অথবা অর্থনৈতিক যে কোনো হামলার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে যায় তাহলে আল্লাহ কঠোর শাস্তি দেবেন।”
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর ইরান তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের উপর কোনো হামলা চালায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইরানের একটি কৌশলগত অবস্থান।
ইসরায়েলে হামলা না চালাতে ইরানের উপর চাপ দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা এ পরিকল্পনা থেকে পিছপা হবে না। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্টো পশ্চিমা দেশগুলোকে ভণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব দেশ গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। অপরদিকে ইরানকে ইসরায়েলে হামলা না চালাতে চাপ দিচ্ছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে একটি সূত্র বলছে, ইসরায়েলে হামলা চালালে পরবর্তীতে কী হতে পারে এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে আলোচনা করছেন তিনি।
দখলদার ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোকে জানিয়েছে, যদি ইরান তাদের উপর সরাসরি হামলা চালায় তাহলে তারাও পাল্টা হামলা চালাবে।