কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শিশু আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল শুনানি শেষে ১০০ টাকার বন্ডে জামিন আদেশ দেন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন মাহিমের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মামলাটি মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় ছিল। মাহিম কিশোর হওয়ায় মামলা স্থানান্তর হয়েছে। এর আগে ৪ আগস্ট শুনানির দিন ছিল। কিন্তু আমরা আজ নতুন করে শুনানির জন্য আবেদন করেছি। আদালত শুনানি গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গত ১৯ জুলাই মাহিমকে কারাগারে পাঠান আদালত। তবে মাহিমকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি এতদিন অগোচরেই ছিল।
ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজ না মেলায় বুধবার (৩১ জুলাই) আলফি শাহরিয়ারের বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপরই কিশোর শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এর আগে আলফিকে আটকের বিষয়টি অগোচরেই থেকে যায় সংশ্লিষ্ট সবার।
মাহিমের বাবা মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, পুলিশ কমিশনার আমাকে ডেকেছিলেন। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন মাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে, ছেলের সঙ্গে কারাগার থেকে কথা বলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কমিশনার। কিন্তু সম্ভব হয়নি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান বলেন, ১৭ জুলাই আমাদের তাজহাট থানায় যখন আগুন দেয়, তখন মাহিম পিকেটিং করছিল। ওই সময় ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবির টিম ছিল। ওই সময় সে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে।