নওগাঁর ধামইরহাটে প্রভাবশালীরা ৩ মাস ধরে গৃহবন্ধী করে রেখেছে এক অসহায় পরিবারকে। ভুক্তভোগী পরিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা না পেয়ে পুকুর দিয়ে সাঁতার কেটে ও কলা গাছের ভুর দিয়ে করেন যাতায়াত। মারপিটেরও শিকার হয়েছেন প্রতিপক্ষের দ্বারা, সুবিচার চেয়ে নওগাঁ কোর্টে মামলাও দায়ের করেছে ভুক্তভোগী এনতাজ আলী।
ঘটনাটি উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের উদয়শ্রীগ্রামে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উদয়শ্রী গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে এনতাজ আলী দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দে গত রমজান মাসে প্রতিপক্ষ আব্দুল কাইয়ুম ও আব্দুল হাই এনতাজ আলীর বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুই দিকের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে পরিবারটিকে গৃহবন্দি করে রাখে। নিরুপায় হয়ে এনতাজ আলী বাড়ির সামনে থাকা সরকারি খাস পুকুরে সাঁতার কেটে ও কলা গাছের ভুর দিয়ে বাহিরে যাওয়া আসা করেন। গৃহবন্ধী করেই প্রভাবশালীরা ক্ষান্ত হয়নি, তারা চলতি বছরের গত ২১ জুন দিনের বেলায় প্রতিপক্ষ আব্দুল কাইয়ুম ও পিয়ারা বেগমসহ অন্যান্যরা হামলায় চালিয়ে এনতাজ আলীর স্ত্রী মতিজান বিবিকে মারপিটে বাম হাটু ভেঙ্গে দিলে স্থানীয়রা তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় পরিবারে ভাংচুর চালিয়ে ধান বিক্রির ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
তবে মারপিটের কথা স্বীকার করে মো. আজাহার আলীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমি রাস্তাটি মেম্বার-চেয়ারম্যানের নির্দেশেই বন্ধ করে দিয়েছি। অপরদিকে প্রতিপক্ষ আব্দুল হাইয়ের ছেলে সামিউল বলেন,‘কেউ কাউকে না মানায় নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল চলাকালে চেয়ারম্যান-মেম্বারের নির্দেশেই রাস্তাটি আমরাই ঘিরে দিয়েছি।’
স্থানীয় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা খাতুন বলেন,‘ রাত ১০ টা ১২টার সময় পুকুরে সাতার কেটে বাড়িতে যান এনতাজ আলী, যা একটি অমানবিক কাজ, আমরা গ্রামবাসীরাও এই অন্যায়ের ন্যায্য বিচার চাই।
তবে খেলনা ইউপি চেয়ারম্যান আলহিল মাহমুদ চৌধুরী বলেন,‘ বাদী ও অভিযোগকারীদের চলাচলের জন্য আমরাই পরিষদ থেকে কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে রাস্তা করে দিয়েছি, আমি বা আমরা কারও রাস্তা বন্ধ করিনি, তারাই নিজেরাই একে অপরের দ্বন্দে এমনটি করেছে, আমরা এ বিষয়ে দায়ী নয়।