বগুড়ার আদমদীঘিতে জামাইয়ের লোহার ধারালো বেরির আঘাতে শাশুড়ি জোবেদা বেওয়া (৫৫) নিহত হয়েছে। আজ বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর দেড়টায় আদমদীঘি উপজেলার চাপাপুর ইউপির মিতইল পূর্বপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পর থেকে মেয়ের জামাই রাসেল আহম্মেদ পলাতক রয়েছে। নিহত জোবেদা বেওয়া ওই গ্রামের মৃত ছোলেমান আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বুধবার দুপুরে আদমদীঘির মিতইল গ্রামের বিধবা জোবেদার একমাত্র মেয়ে সালেহাকে আড়াই বছর পূর্বে একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদের সাথে বিয়ে দিয়ে ঘর জামাই রাখে । ঘর জামাই থাকা কালে জামাই রাসেল নানা কারনে তার স্ত্রী সালেহা ও শাশুড়ি জোবেদা বেওয়াকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। আজ বুধবার সকালে জামাই রাসেল গাছ কাটার জন্য অন্য গ্রামে যায়।
নিহতের মেয়ে সালেহা জানায়. দুপুরে তার স্বামী কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভাত রান্না করতে দেরি কেন হয়েছে। এ নিয়ে স্ত্রী সালেহাকে মারপিট শুরু করলে তার শাশুড়ি জোবেদা এগিয়ে এলে জামাই রাসেল আহমেদ ক্ষিপ্ত হয়ে তার শাশুড়ি জোবেদা বেওয়াকে রান্নার পাতিল নামানো লোহার ধারলো বেড়ি শাশুড়ির গলায় ঢুকিয়ে দেয়। এতে লোহার বেরি গলায় ঢুকেশ্বাসনালীতে আটকিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আহত জোবেদাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
আদমদীঘি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান. নিহত জোবেদার মরহেদ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।