বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাগেরহাট থেকে আটক হলো জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি ফুলবাড়ীতে ১৯৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবারী আটক গাইবান্ধায় ১ হাজার দুস্থ মানুষ পেলেন শীতবস্ত্র গাইবান্ধায় বড় দিন উদযাপিত দুপচাঁচিয়ায় ট্রান্সফরমার চোর সদস্যের দুই সদস্য গ্রেপ্তার সহ মালামাল উদ্ধার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের শিখন অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোংলায় ৪০টি গীর্জায় উদযাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন বাগেরহাটের রামপালে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বরখাস্ত ‎আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের ‎-জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান দুপচাঁচিয়ায় সাকিবকে মারপিটের ঘটনায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত

বৃক্ষরোপণে ব্যাপক সাফল্য ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের

আবু মুছা স্বপন, ধামইরহাট প্রতিনিধি.
  • আপডেট টাইম সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৬
বৃক্ষরোপণে ব্যাপক সাফল্য ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের
বৃক্ষরোপণে ব্যাপক সাফল্য ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের

নওগাঁর ধামইরহাটে ব্যাপন বনায়ন কাজ সম্পন্নকরেছেন বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। তার যোগদানের পর থেকে ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলার কিছু ইউনিয়নেরও আমুল পরিবর্তন করেছেন তিনি। বিশেষ করে ওই এলাকার পত্নীতলা উপজেলার আমাইর ইউনিয়নের সিধাতৈল মৌজা, এটি নওগাঁ জেলার অন্তর্গত। এই মৌজার কিছু অংশের জমি চৈত্র মাসে ফেটে চৌচির হয়। যেকোনো ফসল চাষে কৃষকরাও বেসামাল হয়ে যান। কিন্তু সেখানে বৃক্ষ চারা রোপন করে অসাধ্য সাধন করেছেন ধামইরহাট বন বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

সিধাতৈল মৌজার চৌচির মাঠে ২০২১-২২ সনে বৃক্ষ চারা রোপণ করে নজির সৃষ্টি করেছেন এই কর্মকর্তা। বর্তমানে এই বৃক্ষ চারার উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফিট, কোথাও কোথাও আরো বেশি। কিছু কিছু চারা অবিশ্বাস্য রকম মোটা হয়ে নিচের অংশ গাছের মতোই লাগে। বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ৩০হেক্টর এর অংশ এর অংশ ২০ হেক্টর জমিতে বনায়ন সৃজন ও ১০০ জন স্থানীয় উপকারভোগীর সঙ্গে বন বিভাগ চুক্তিবদ্ধ হয়। ১০ বছর মেয়াদী এই বনায়নের মেয়াদ শেষ হলে বিধি মোতাবেক গাছ কর্তন শেষে উপকার ভোগীরা পাবেন তাদের লভ্যাংশের অর্থ। এই বনায়নের ফলে পতিত জমি সর্বসাধারণের জবর দখলের আওতা থেকে যেমন সুক্ত থাকবে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, অপরদিকে উপকার ভোগীরা পাবেন এখান থেকে মোটা অংকের আর্থিক লভ্যাংশ। যা দিয়ে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ ও সংসারের বড় কোন উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন।

একজন উপকার ভোগী সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ” যেখানে বনায়ন করা হয়েছে সেই জমিতে বর্ষাকালে ৮ থেকে ১০ ফুট পানি থাকে এবং খরা মৌসুমে বাগান এলাকায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে থাকে। গাছ রোপনের ফলে পরিবেশের ব্যাপক উপকার হয়েছে, উপকারভোগীরা গাছ বিক্রি থেকে টাকা পেলে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারবে, এবং এই জায়গাটি পতিত পড়ে থাকলে বে-দখল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, যা বনবিট কর্মকতৃা আনিসুর রহমান উদ্ধার করে ও বন বাগান সৃজন করে নজির সৃষ্টি করেছেন। চৌচির এই জমিতে গাছ রোপনের ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিমত বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান একজন দক্ষ অফিসার, তাকে জাতীয় ভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। ‘তবে রোপিত এই চারা গাছে পরিণত করতে বনবিট কর্মকর্তাকে ব্যাপক পরিশ্রম করতে হয়েছে। একদিকে অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি, আরেক দিকে প্রচন্ড খরায় গাছ মরার ঝুঁকি। স্থানীয়ভাবে পুরো খরা মৌসুম পানি সেচের ব্যবস্থা করে গাছের শারীরিক বৃদ্ধিতে নিজের শরীরের প্রচণ্ড ঘাম ঝরিয়েছেন বন বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

বনায়ন সৃজন সম্পর্কে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগে বন বিভাগের সরকারি জায়গা অত্যন্ত কম, তাই আমরা সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন দপ্তরের জায়গাতে বিধি মোতাবেক বনায়ন করে উপকারভোগী সৃজন করে থাকি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গাছ রোপনে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়, পাশাপাশি সামাজিক বনায়নে উপকারভোগী মনোনীত করার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গাছ কর্তনের লভ্যাংশ পাওয়ায় উপকার ভোগীদের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কাজে লাগে।’

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com