টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ মিশন শেষে এক ধরনের গোপনীয়তার সঙ্গেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা। অ্যান্টিগা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ও দুবাই হয়ে ঢাকায় এসেছে তারা।
দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেননি বিদেশি কোচরা। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ সবাই বিশ্বকাপ শেষে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে গেছেন।
সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ছুটি শেষে চলমান টাইগার্স ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা তাদের। চট্টগ্রামে চলছে টাইগার্স দলের অনুশীলন। সেখানে বিসিবির কোচ সোহেল ইসলামের অধীনে অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের কোচরা না আসা পর্যন্ত সেখানেই আসন্ন ব্যস্ত টেস্ট সূচির প্রস্তুতি নেবেন খেলোয়াড়েরা।
এ ছাড়া অনেকেই আগামী এক-দেড় মাস ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকবেন। সাকিব আল হাসান খেলবেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগে, কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন শরীফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রিশাদ হোসেন। মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ খেলবেন এলপিএলে।
এবারের আসরে মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সুপার এইটে ভক্তদের হতাশ করেছে টাইগাররা। তারপরও ম্যাচ জয়ের হিসেবে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে কোনো আসরেই ৩ ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল্পের জন্য হারে টাইগাররা। তবে গ্রুপ পর্বে পরের দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
গ্রুপ পর্বের সেই দাপট ধরে রাখতে পারেনি সুপার এইটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় হার দিয়ে এ পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর ভারতের বিপক্ষেও পাত্তা পায়নি টাইগাররা।
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নির্দিষ্ট ব্যবধানে জিতে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। সেই সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল তারা। আফগানদের মাত্র ১১৫ রানে আটকে রেখেছিল তারা। ১২ ওভার ১ বলে সেই রান তাড়া করতে পারলেই সেমির টিকিট পেতো শান্তর দল। তবে তা পাড়েনি তারা। ফলে জয়হীন থেকেই সুপার এইট শেষ করে বাংলাদেশ।