হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।গতকাল সোমবার (২৪ জুন) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সকালের আপডেট হচ্ছে, তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। গতকাল তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। আসলে ম্যাডাম সিসিউইতে মানিয়ে নিতে পারছেন না। সে কারণে সিসিইউর সব সুবিধা রেখে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই অবৈধ সরকার হীন চক্রান্ত করছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশনেত্রীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধান বিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে দেশনেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে।
অনতিবিলম্বে খালেদ জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল।