মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গাইবান্ধার কামারজানিতে বালু মহাল ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে তন্ত্র-মন্ত্রের খেলা ‘পাতা খেলা’ অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আগৈলঝাড়ায় স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্ত্রীর মৃত্যু। জামায়াতের আমীরের আগমন উপলক্ষে গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় দুপচাঁচিয়া উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সাহিত্য প্রেমী ও দক্ষ সংগঠক সিরাজুল হক মন্টুর গল্প নন্দীগ্রামে চালককে মারপিট করে ইজিবাইক ছিনতাই সান্তাহার প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা প্রদান বাগেরহাটে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

আদমদীঘিতে সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ এখনও মামলা হয়নি

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
  • ১২০
সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ



ড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়কের দু’পাশে লক্ষাধিক টাকা মুল্যের প্রায় ১৭ টি ইউক্যালেপ্টাস গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে এক সমিল মালিক আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে। কোন কিছু তোয়াক্কা না করে সরকারী গাছ জোড়পূর্বক কর্তন করে নিয়ে যায়।

গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম অভিযান চালিয়ে কেটে রাখা ১০টি গাছ জব্দ করেন। তবে এরিপোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা বা আইগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে তিনি জানান।

উপজেলার দমদমা-কদমা সড়কের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে এসব গাছ কাটেন ওই এলাকার আব্দুস সালাম নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী। তিনি কার নির্দেশে গাছ কেটেছের সে বিষয়ে রয়েছে ধোয়াশা।

জানা গেছে, গত ১৬ বছর আগে উপজেলার সান্তাহার ইউপির দমদমা গ্রামের ২৮জন যুবক মিলে দলবদ্ধভাবে নিজ উদ্যোগে সড়কের দু’পাশে দেড় শতাধীক ইউক্যালেপ্টাস গাছ রোপন করেন। তাঁরাই যত্ন নিয়ে এসব গাছ বড় করেন।
হঠাৎ গত ১৯ জুন বুধবার সকাল থেকে দমদমা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম এসব কাছ কাটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সালামসহ যারা উপপিস্থত ছিলেন সকলকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।

দমদমা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, ‘গাছগুলো আমার ছেলে শাহরিয়ার কবির শিপলুসহ আমার মহল্লার প্রায় ২৮জন যুবক রোপন করেন। সরকারী কোন টেন্ডার বা অনুমোদন ছাড়া আব্দুস সালাম জোড়পূর্ভক গাছ কর্তন করেন নিয়ে যায়। তার অন্তরালে কোন পেশী শক্কি রয়েছে বলে তিনি ধারনা করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোড় দাবী ও জানায়।
জানতে চাইলে আব্দুস সালাম সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক মানিক কুমার বলেন, আব্দুস সালাম অনুমোদনের কোনো কাগজ দেখাতে পারেন নি। গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সাথে সংশ্লীষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু বলেন, সড়কে যে কেউ গাছ লাগাতে পারবে তবে দরপত্র ছাড়া কেউ কাটতে পারবেন না। তারা যে কাজটি করেছেন এটি রিতিমতো অপরাধ। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ। তা না হলে আরো বেশি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে আদমদীঘি উপজেলা বন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এসব গাছগুলো সড়ক ও জনপদের আওতায় আমাদের কোন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) রোমান আফরোজ বলেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম জানান, ওই সড়কে গাছ কাটতে তাঁরা কাউকে অনুমোদন দেন নি। অবৈধভাবে গাছ কাটায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে ১০টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com