বাগেরহাটের রামপালে শতশত পরিবারকে ভূমিহীন রেখেই রামপাল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং করলেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৫ম পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসন এবং ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা উপলক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এর সভাপতিত্বে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিত ব্রিফিং এ তিনি জানান, সারা বাংলাদেশে ১৮৮ টি উপজেলার মধ্যে রামপাল উপজেলায় ৫ম পর্যায়ে সর্বমোট ১৫০ টি গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমান।
উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির একাধিক সভার মাধ্যমে 'ক' তালিকার পরিবার সমূহককে সরকারি কার্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যাচাই বাছাই অন্তে ৫১৬ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাওয়া গেছে। তাদের পর্যয়ক্রমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ঘরের গুণগত মান নিশ্চিত করতে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা, এসিল্যান্ড, পিআইও, এলজিইডি কার্মকর্তা সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন। উপকারভোগীদের ঘর, জমি, কবুলিয়ত দলিলসহ সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী একযোগে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে উপকারভোগীদেরকে তাদের দলিলাদি সম্বলিত ফোল্ডার হস্তান্তর করবেন।
এ সময় সাংবাদিকরা জানান, এ উপজেলায় শতশত ভূমিহীনদের বাইরে রেখে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা কত টুকু যুক্তি যুক্ত ? এ সময় নির্বাহী কার্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন কারণে মানুষ ভূমিহীন হয়ে থাকেন। কেউ বাদ পড়লে সরকার পর্যায়ক্রমে তাদের পুনর্বাসন করবে। এ প্রকল্পের আওতায় আরো গৃহ নির্মাণ করা হবে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, পিআইও মো. মতিউর রহমান, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সিনিয়র সহসভাপতি মোতাহার মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার প্রমুখ