বগুড়ার আদমদীঘিতে সেচপাম্প মালিকের অবহেলায় জমিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি গরু ও একটি গারোল মারা গেছে। আর এসব পশুগুলোকে চরাতে নিয়ে যাওয়া গৃহীনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির বাগবাড়ি গ্রামের মাঠে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহীনি রানু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, বাগবাড়ি গ্রামের গৃহীনি রানু সকালে বাড়ি থেকে পাঁচটি গরু ও একটি গারোলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় বাগবাড়ি মালচি নামক ফসলী মাঠে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক তার জমিতে পড়ে ছিল। পিছন থেকে দড়ি ধরে গরু-গারোলগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন গৃহীনি রানু।
জমিতে পড়ে থাকা তারে জড়িয়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু ও একটি গারোল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর গৃহীনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরেন। ফসলী মাঠে বিপদজ্জনকভাবে থাকা বৈদ্যুতিক তারগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে একাধীকবার বলা হলেও তিনি (রাজ্জাক) কর্ণপাত না করায় নিরূপায় হয়ে রানু থানায় তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সেচপাম্প মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতকাল রাতে বাতাসে সেচ পাম্পের ঘরে টানা বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে জমিতে পড়ে থাকায় এমন ঘটনা ঘটে। সকালের দুর্ঘটনার বিষয়টি জানা ছিলো না। জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। ফসল আবাদের জন্য ওই মাঠে সব সময় পানি প্রয়োজন হওয়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়না।
সান্তাহার নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, ঘটনারস্থল পরিদর্শনের জন্য একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সেচপাম্পের বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গরু ও গারোলের মৃত্যুর ঘটনায় এক গৃহীনি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দেখা হবে।