টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১তম ম্যাচে নাটকীয় সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় দেখল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারিয়েছিল তারা।
পাকিস্তানের করা ১৬০ রান তাড়া করতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বলে দরকার ছিল পাঁচ রান। হারিস রউফের করা সেই বলে নিতিশ কুমার রাউন্ডারি মেরে ম্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে। ভাগ্য নির্ধারণী মোহাম্মদ আমিরের ওভারে যুক্তরাষ্ট্র তুলে ১৮ রান। জবাব দিতে নেমে সৌরভ নেত্রাভালকারের করা ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে ১৩ রান। তাতে ৫ রানের জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয় যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরিতে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিকেরা। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। কোনোরকমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে তারা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হুড়মুড় করে ভেঙে যায় পাকিদের টপ অর্ডার। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায়। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে যার শুরুটা করেন নেত্রভালকার, তবে এই উইকেটে বড় অবদান স্টিভেন টেলরের। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন তিনি।
রিজওয়ান ৮ বলে ৯ রানে ফেরার পর দ্রুত ফেরেন উসমান খানও, নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর আলি খান ফেরান ফখর জামানকে, ৭ বলে ১১ রান করেন এই ব্যাটার। ৪.৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মার্কিন বোলারদের সামনে যখন দিশেহারা পাকিস্তান, তখন পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন শাদাব খান। বিপর্যয় সামলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিতও গড়ে দেন তিনি। অধিনায়ক বাবরের সাথে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭২ রানের জুটি। তবে ২৫ বলে ৪০ রান করে থামতে হয় শাদাবকে।
শাদাব আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হন আজম খান। পরপর দুই বলে ২ উইকেট পান কেনজিগে। দলীয় ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শাদাব-বাবর মিলে যেভাবে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন, সেটাও কমে যায় হুট করেই। ফলে চাপ বাড়ে পাকিস্তানের ওপর।
সেই চাপ সামলে উঠতে পারেননি বাবর আজম, পাক অধিনায়ক ফেরেন ৪৩ বলে ৪৪ রান করে। দলের সংগ্রহ তখন ১২৫ রান। দায়িত্ব নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে আসতে পারেননি ইফতিখারও। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১৮ রানে আউট হন তিনি।
তবে শেষদিকে শাহিন আফ্রিদি ব্যাট হাতে ঝড় তোললে দেড় শ’ পাড়ি দেয় পাকিস্তান। ১৬ বলের বিধ্বংসী ইনিংসে ২৩ রান করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে নশতুষ ৩ ও নেত্রভালকার নেন ২ উইকেট। ১টা করে নেন আলি খান ও জীতেন্দ্র সিং।
জবাবে অধিনায়ক মোনাক প্যাটেলের ৫০ রানের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়েই যুক্তরাষ্ট্র করে সমান রান।
ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।