মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের শিখন অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোংলায় ৪০টি গীর্জায় উদযাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন বাগেরহাটের রামপালে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বরখাস্ত ‎আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের ‎-জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান দুপচাঁচিয়ায় সাকিবকে মারপিটের ঘটনায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত দুপচাঁচিয়ায় ওএমএস ডিলার নিয়োগে লটারী অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই রাখাল নিহত গাইবান্ধার কামারজানিতে বালু মহাল ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে তন্ত্র-মন্ত্রের খেলা ‘পাতা খেলা’ অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাগেরহাটের রামপালে রেমালে ১ কোটি টাকার ক্ষতি মৎস্য খামারী মজনুর

এএইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১৮৯

বাগেরহাটের রামপালে ঘূর্ণি ঝড় রেমালের জলোচ্ছ্বাস ভেসে গেছে মৎস্য খামারের কোটি টাকার কার্প ও চিংড়ির পোনা। সব হারিয়ে এখন পথে বসেছেন উপজেলার শ্রীরম্ভা গ্রামের শেখ ফারদিন মৎস্য খামারের মালিক মিজানুর রহমান মজনু।

উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নসহ আশপাশের খামরগুলোতে কার্প জাতীয় মাছের পোনার বৃহৎ জোগান দেয়া হতো ওই ফারদিন মৎস্য খামার থেকে।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ইং ২৬ মে ঘূর্ণি ঝড় রেমালের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের অধিকাংশ মৎস্য ঘের। বাড়ীঘর লণ্ডভণ্ড হওয়ার পাশাপাশি এ এলাকার একমাত্র আয়ের উৎস চিংড়ী খামার ভেসে যায়। শুধু তাই নয় খামারের বেড়ী বাঁধ স্রোতের তোড়ে বিলিন হয়ে যায়। বাদ যায়নি ফারদিনের বেড়ী বাঁধও। খামারের দেখভাল করা রিক্তা বেগম জানান, অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ধারদেনা করে খামারে প্রায় ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন মালিক মিজানুর রহমান মজনু।
কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় তিনি খামারটি গড়ে তোলেন। ছোট ধানিপোনা কিনে এনে তা খামারে রেখে খাবার দিয়ে বড় করা হয়। এ জন্য সকল প্রকার নিয়ম মেনে নিরাপদ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন ও খাবার দেয়া হয়। রিক্তা বেগম আরো জানান, রুই, কাতল, মৃগেল ও কালিবাউস মাছ ১০/১২ টায় কেজি হলে তা অন্য খামারিদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হটাৎ করে রেমাল আঘাত হানে। সারা বছরের স্বপ্ন ভেসে পানিতে মিশে যায়। সব থেকে বেশী সমস্যা তৈরি হয় তীব্র লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে। অবশিষ্ট মাছে মরে সব ভেসে ওঠে। সরোজমিনে সাংবাদিকরা গিয়ে মৃত মাছের সমাধি ও মরা মাছ ভেসে ওঠার দৃশ্য দেখতে পান।

এ সময় খামারি মজনুর স্ত্রী রিক্তা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, কি করে আমরা বেচে থাকবো ? আমরা সন্তান মরা শোকে পড়েছি। সন্তানের মত মাছেদের খাবার দিতাম। আমার স্বামী ভয়ে এখানে আসছেন না, এলে তিনি স্ট্রোক করবেন। এমন অবস্থা হয়েছে যে বেড়ী বাঁধ দিয়ে নতুন করে পোনা ছাড়ারও সুযোগ নেই। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেন।#

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com