বগুড়ার আদমদীঘিতে যৌতুকের দাবীতে বিউটি আক্তার (৩০) নামের গৃহবধুকে আটক রেখে স্বামী শ্বশুর ভাসুরসহ পরিবারের সদস্যরা শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে মোবাইল ফোন পেয়ে পুলিশ আহত গৃহবধু কে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। গতকাল সোমবার (৬ মে) দুপুর ১২ টায় আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর গ্রামে স্বামীগৃহে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার বিউটি বেগম বাদি হয়ে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারপুর গ্রামের স্বামী মাসুদ রাব্বী পেসতা, ভাসুর সানোয়ার হোসেন সানা, শ্বশুর ছামছুল মন্ডলসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানাযায়, আদমদীঘির কোমারপুর গ্রামের মাসুদ রাব্বী ওরফে পেসতার সাথে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কামতা গ্রামের বিউটি আক্তারের ১৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। এদিকে গত প্রায় ৩ বছর পূর্বে থেকে বিউটি আক্তারের নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে তার স্বামী শ^শুর ও ভাসুরসহ পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে যৌতুক নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরজের ধরে গতকাল সোমবার সকালে বিউটি আক্তারকে পুনরায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে স্বামীগৃহে আটক রাখে। এ ঘটনায় বিউটি আক্তার তার পিত্রালয়ে ফোন দিয়ে সংবাদ দেন। খবর পেয়ে বিউটি আক্তারের বাবা বেলাল হোসেন ও ভাই বায়েজিদসহ তার স্বজনরা কোমারপুর গ্রামে আসলে বিউটি আক্তারের স্বামী মাসুদ রাব্বী পেসতা ও ভাসুর সানোয়ার হোসেনসানাসহ স্বামী বাড়ির লোকজন তাদের উপড়ও হামলা করলে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়ার পর আদমদীঘি থানা পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে আহত বিউটি আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। বিউটি আক্তারের ভাসুর সানোয়ার হোসেন সানা যৌতুক দাবী ও নির্যাত বিষয় অস্বীকার করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী অভিযোগ পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া চলছে।
একাত্তরের দেশ