স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশ্রয়ে একের পর এক ধর্ষণ করে চলেছে টাঙ্গাইলের এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড়ভাই বড় মনির। এবার মামলা হয়েছে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে।
ভুক্তভোগী বড় মনিরের কাছ থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ জরুরি সহায়তা চান। পুলিশ উত্তরায় বড় মনিরের ডেরা থেকে তাকে উদ্ধার করে। এরপর তুরাগ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। পরে মামলা হয়।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তফা আনোয়ার বলেন, টাঙ্গাইলের গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন।
পুলিশ বলছে, আসামী যতোই শক্তিশালী হোক না কেন, ছাড় দেয়া হবে না।
শুক্রবার অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে নির্যাতন শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। বড়মনিরের হাত থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চান। তাতে সাড়া দিয়ে উত্তরা থেকে তাকে উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ। যে বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয় তার মালিক বড় মনির।
ভুক্তভোগী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় মনিরের সাথে তার পরিচয় হয়। বৃহস্পতিবার বড় মনির দেখা করতে বলে তাকে। সরল বিশ্বাসে বড় মনিরের সাথে দেখা করেন। পরদিন আবারো ভুক্তভোগীকে দেখা করতে বলেন বড়মনির। দেখা করার পর তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় উত্তরা ১২ সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে। সেখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
উদ্ধার হবার পর, বড় মনিরের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ জানালে তা আমলে নেয় পুলিশ। জানায়, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। উত্তরার সেই বাসা থেকে জব্দ করা হয় সিসিটিভির যন্ত্রাংশ। আটক করা হয় দারোয়ানকেও।
ধর্ষণের কারণে এর আগেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন বড়মনির। ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে সেই নারী ও জন্ম দেয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার প্রতিবেদনে শিশুটির পিতা বড় মনির নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ ওঠে, সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পাল্টে দেয়া হয় ডিএনএ রিপোর্টসহ মামলার সব আলামত।
একাত্তরের দেশ