আদমদীঘির সিংগাহার গ্রামে রাস্তার পাশে ছাগল বেঁধে রাখাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীকে মারপিটে জখম মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোসলেমা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী। গত শুক্রবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির সিংগাহার গ্রামের আসলাম আলী গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে তার বাড়ির নিকট রাস্তার পাশে ঘাস খাওয়াতে ছাগল বেঁধে রাখেন। রাস্তার পাশে কেন ছাগল বেঁধে রেখেছে এ নিয়ে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হারুনুর রশিদ ও মোসলেমা বেগমসহ তার লোকজন আসলাম আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে বাকবিতন্ডা ও গালিগালাজ শুরু করে। এসময় আসলাম আলী ও তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসলাম আলী ও তার স্ত্রী জাকিয়া বেগমকে মারপিটে জখম করে। পরে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি হাসাপালে ও পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মারপিটের সময় প্রতিপক্ষরা শাকিলা খাতুনকে শ্লীলতাহানি ঘটায় ও তার গলা থেকে একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আহত আসলাম আলীর বোন চম্পা বিবি বাদি হয়ে গত ২২ মার্চ আদমদীঘি থানায় একই গ্রামের হারুনুর রশিদ, মোসলেমা খাতুন, রাকিবসহ ৫জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোসলেমা খাতুনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেন।
একাত্তরের দেশ