সোমবার সকালে আরও দুইজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে রাতেই হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আহতরা হচ্ছে- আড়াইহাজারের মাহমুদ ও সোনারগাঁয়ের জাকির হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে বাগরী গ্রামের বিলে পাড়ে আট থেকে দশজনের একটি ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় স্থানীয় কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসী তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ডাকাতদের ধরে গণপিটুনি দিলে তারা মারা যায়।
অন্যরা পালিয়ে বিলে ঝাঁপ দেয়। পরে বিল থেকে উঠিয়ে আরও দুই ডাকাত দলের সদস্যকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয়দের দাবি এ গ্রামে একাধিকবার ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকে। আর এতে গ্রামবাসী ডাকাতদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল।
সোনারগাঁয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসাইন জানান, রাতে নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকালে গ্রামের চর থেকে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আহত ডাকাত দলের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাগরী গ্রামে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নিহতের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার সোনারগাঁ থানায় মামলা হবে বলে জানান তিনি।
একাত্তরের দেশ