গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট মৃত্যু হলো ১০ জনের।
রোববার দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে মারা যান দগ্ধ জহিরুল ইসলাম (৪০) ও মোতালেবের (৪৫)।
সোমবার সকালে মৃত্যু হয় শিশু সোলায়মানের (৯) ও রাব্বির (১৩)।
জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
শিশু সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে ও শিশুর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার মো. শাহ আলমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, দগ্ধ রাব্বির শরীরের ৯০ শতাংশ, সোলাইমানের ৮০ শতাংশ, জহিরুলের ৬৫ শতাংশ ও মোতালেবের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে মারা যান দগ্ধ নার্গিস খাতুন (২২)। সেদিনই সকালে মৃত্যু হয়েছে আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও মহিদুল খানের (৩০)।
শনিবার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তৈয়বা (৪), তার ভাই তাওহিদ (৬) ও মো. মুনসুর আলী আকন্দের (৪৫)।
বর্তমানে ২১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৭ জন হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে ওই রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এলাকাবাসী জানায়, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
একাত্তরের দেশ