৩৫ বছর আগের পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে আলোচিত সাগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডে আজ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এই রায়ে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
গত ১৩ মার্চ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ডা. হাসানের শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা। আর বেকসুর খালাস পেয়েছেন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল।
আনাস ও মারুফ আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন। এদিন রায় ঘোষণার সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে সিদ্ধেশ্বরী রোডে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন সগিরা মোর্শেদ। ওই দিনই রমনা থানায় নিজের ভাই, ভাবিসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন সগিরার স্বামী সালাম চৌধুরী।
সাক্ষ্য গ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৫ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলাটির রায় ঘোষণর দিন ঠিক করা হয়। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে কয়েক দফায় পিছিয়ে অবশেষে বুধবার ঘোষণা করা হয়।
সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আরো পেছালোসগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আরো পেছালো
মামলার ২১ বছর পর ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জনের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।