ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্য। সবশেষ নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। নিহতদের সবাই নারী ও শিশু বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে এবং রাফাহতে একটি আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করেছে।
নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করার ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং সিভিল ডিফেন্স ক্রুরা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে কাজ করছে। মৃতের সংখ্যা এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেইর আল-বালাহ শহরের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এর আগেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল।
এদিকে গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরায়েল বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী হামাদের আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের ওই বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি ছাড়া ওই ভবনে থাকা সবাই ছিলেন নারী ও শিশু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি আল জাজিরাকে বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় কোনও নিরাপদ অঞ্চল নেই। এক ইঞ্চিও নিরাপদ নয়। ইসরায়েলিরা মিথ্যা বলছে। আমাদের বলা হয়েছিল গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ দিকে নিরাপদ। বাধ্য হয়ে আমরা এখানে আশ্রয় নিয়েছি। আমরা সবাই বেসামরিক।’