পীরগঞ্জ প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জে এক গৃহবধুর শরীরে এসিড নিপেক্ষ হয়েছে এবং এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন আমরিন আক্তার আখিঁ নামে ঐ গৃহবধু।
সংবাদ সম্মেলনে আরমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তিনি ও তার স্বামী মারুফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পীরগঞ্জ পৌর শহরে নেতার মোড়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছেন। গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে তিনি তার ভাগিনা আতিক হোসেন এর সাথে গ্রামের বাড়ি কোচল থেকে পীরগঞ্জে আসছিলেন। পথে হাজীপুর ইউনিয়নের দেহানগর এলাকায় পৌছালে দেহানগর এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে খালেদুর রহমান ও তার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) রুবেল সহ কয়েকজন পূর্ব শত্রতার জেরে এবং খারাপ উদ্দেশ্যে তাদের পথ রোধ করে এবং তার মুখে কাপড় পেচিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তার শরীরে এডিস ছুঁড়ে মারে পথরোধকারীরা। এ সময় তিনি বরখা পড়ে ছিলেন। এ কারণে এসিড শরীরের তেমন ক্ষতি না হলেও তার বাম হাতের কনুই এর নিচের অংশ পুড়ে যায়। ঘটনার সময় তার ভাগিনা আতিক চিৎকার চেচামেচি করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান। পরে তিনি পীরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। গত শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় খালেদুর রহমান ও রুবেল সহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের নামে পীরগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এজাহার নথি ভূক্ত করছেন না থানা কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধু আরো অভিযোগ করে বলেন, তার ভাসুর রুবেল হোসেন গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে ও তার স্বামীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। রুবেল একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী। তার বিরুদ্ধে আদালতে ২০ টিরও অধিক মামলা চলমান রয়েছে। রুবেল দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম আখির শ^াশুড়ি ছুটুনি বেগম, স্বামী মারুফ সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার বিষয়ে রুবেল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে খালিদুর রহমান জানিয়েছেন ঘটনাটি সাজানো।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, ভিকটিমকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছিলাম। এরপর আর আমার কাছে আসেনি।
এ জাতীয় আরো খবর..