গাজায় নিহত চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত এই চারজনের মরদেহ গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গাজার খান ইউনিস থেকে রেডক্রসের কাছে কফিনবাহী মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
তারা হলেন, সিরি বিবাস, এরিয়েল বিবাস এবং কাফির বিবাস ও ওদেদ লিফতসিজ। তাদের মরদেহ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে হস্তান্তর করে রেডক্রস।
এই চারজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তারা সম্পর্কে মা-সন্তান ছিল। যারমধ্যে অল্প বয়সী একটি শিশুও আছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে এসব জিম্মিকে ধরে গাজায় আনা হয়েছিল। তবে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর বিমান হামলায় মা ও তার দুই শিশু সন্তান নিহত হন। অপরদিকে ওই বৃদ্ধও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী।
গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়। ওই সময় তাদের মধ্যে চুক্তি হয় যুদ্ধবিরতিটি তিন ধাপে কার্যকর হবে। প্রথম ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই সময়ে ৩৩ জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। হামাস চুক্তি অনুযায়ী জিম্মিদের মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আগামী শনিবার ছয় জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যদিও ওইদিন তিনজনকে ছাড়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপটি ত্বরান্বিত ও মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক দিনে ছয়জনকে ছেড়ে দিতে রাজি হয় তারা।
এছাড়া হামাস ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যদি দখলদার ইসরায়েল তাদের সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যায় এবং যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করে তাহলে তারা একসঙ্গে বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।