জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। এই সরকার নিরপেক্ষ কিনা এটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই সরকার বৈষম্য করছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনের পর যারা আসবেন তারাই সংস্কার করবেন। এখনই সংস্কারের হাত না দেওয়া ভালো। এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। এই সরকার নিরপেক্ষ কিনা এটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই সরকার বৈষম্য করছে। স্থিতিশীলতা চাইলে সকলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে।
জি এম কাদের বলেন, ‘তারাই নাকি আন্দোলন করেছে, আর কেউ করে নাই। এখন তারা যাদেরকে বলবেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, তারাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। আর যাদের বলবেন ফ্যাসিবাদের দোসর, তারাই ফ্যাসিবাদের দোসর, ফ্যাসিবাদ। এভাবে নিজেদের ইচ্ছায় দেশকে ভাগ করেছেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের ঘৃণা করেন, প্রতিহিংসা নেন, তাদের বিরুদ্ধে লেগে যান, ঘরবাড়ি, বিল্ডিং ভেঙে দেন। এই ধরনের রাজনীতি সরকারিভাবে প্রোমোট করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘৃণা আর প্রতিহিংসা বাড়াতে হবে- এটাই যেন এখন সরকারের ধর্ম হয়ে গেছে। যত ঘৃণা, প্রতিহিংসা বাড়াতে পারো, এটাই হলো এখন রাজনীতি, সামাজিক নীতি। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এটা গত সরকারও করেছে। এখন তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘৃণা, প্রতিহিংসার রাজনীতি থামাতে হবে। আমরা ঘৃণার জায়গায় ভালোবাসা দেখতে চাই। প্রতিহিংসার জায়গা সমঝোতা দেখতে চাই।’
জিএম কাদের আরও বলেন, দোষী অভিযোগ করলেই কেউ দোষী হয় না। সব দলকেই জনগণের সামনে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত। দেশ এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। মানুষের অবস্থা ভালো না। সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হবে। আমরা কি আন্দোলন করতেই থাকবো? তাহলে দেশ কোথায় যাবে?
জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।