বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে বহুল আলোচিত বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও কয়েকজন উপদেষ্টা।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার নিশ্চিত করেছেন।
আয়নাঘর নামে খ্যাত ঢাকার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা; যেগুলো পূর্বে নির্যাতন কক্ষ এবং গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য ও সাংবাদিকেরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। গোপন বন্দীশালাগুলো আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিভিন্ন বন্দিশালার ছবি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। ড. ইউনূস গোপন বন্দীশালার বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, গত জুলাইয়ে নাহিদ ইসলামকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। তিনি আজ সেই কক্ষটি নিজেই শনাক্ত করেছেন। নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, যে কক্ষে তাঁকে রাখা হয়েছিলে সেখানে একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল। ৫ আগস্টের পর সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয় এবং দেয়াল রং করা হয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আয়নাঘর পরিদর্শন করতে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেদিন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন কমিশনের সদস্যরা।