গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুল হাবিব রিপন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কতৃক গাইবান্ধা জাসাস জেলা শাখার সদস্য সচিব খান মোঃ কাওয়ার ওয়াহিদ (সুজন) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী সুজন, শরিফুল ইসলাম রুবেল৷ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম বাদশা সহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, কিছুদিন পূর্বে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় সুজনের পা ভেঙে গেছে। পায়ে রড লাগানো আছে এবং ক্রেচ ছাড়া সুজন ঠিকমতো হাটতে পারে না। সে কিনা প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ততম সড়কে মারপিট ও ছিনতাই করেছে। সদর থানার ওসি প্রভাবিত হয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই মামলা গ্রহন করেছে। বক্তারা ওসির অপসারণ দাবি করেন।সময় ভুক্তভোগি সুজন বলেন আমার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।পরে নির্যাতিতা ফাতেমা তুজ জোহরা বক্তব্যে বলেন এই সুজন আমার খালু তাকে অযথা হয়রানি করার লক্ষে আমার সাবেক স্বামীর মা লাকী বেগম মিথ্যা মামলা করেন।
তিনি আরে বলেন গত শনিবার দুপুরে জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আমি একটি সংবাদ সম্মেলন করে জানাই, ২০১৮ সালের ৬ আগষ্ট শহরের পশু হাসপাতাল রোডের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসিফ ফয়সাল লেলিনের সাথে আমার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য লেলিন আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ তারিখে আমি ও আমার ছোট দুই বোনকে হত্যার হুমকি দেয় এবং ৮ জানুয়ারি শহরের গোরস্থান পাড়ায় আমার দাদুর মরদেহ দেখে ফেরার পথে লেলিন তার লোকজন নিয়ে আমার ছোট দুই বোনকে মারধোর করে আমাকে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনী এবং সংবাদিকদের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে এবং লেলিনকে আটক করে।আমি ও আমার বোনদের নিরাপত্তার জন্য আমার খালার বাসায় আশ্রয় নেই।
সুজন খালু আমার উপর নির্যাতনের বিচার চাওয়ায় আমার সাবেক শ্বাশুড়ি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এই মিথ্যে মামলা থেকে সুজনকে মুক্তির পাশাপাশি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অপরাধিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন ।