শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রামেশ^রপুর শামছুল উলুম বালিকা দাখিল মাদ্রসার সুপার মাও: আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগতুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ১৭ নভেম্বর ২৪ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে অভিভাবক ও গ্রামবাসী। দুই মাস পার হলেও সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসার সমনে গিয়ে বিক্ষোভ ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন তারা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অত্র প্রতিষ্ঠানে সাবেক আয়া ডালমী আক্তারকে চাকুরীর মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। সেই ২ লক্ষ টাকা এখনও পরিষদ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু সেই টাকার কোন হিসাব নেই। পুরাতন টিনসেটের ঘর ও পুরাতন চেয়ার গোপনে বিক্রয় করার অভিযোগ তুলেছে। অত্র মাদ্রসার আয়া সাথী আক্তার মাতৃত্বকালীনসহ ২ মাসের অতিরিক্ত ছুটি নেয়। কিন্তু হাজিরা খাতায় ওই আয়ার মাতৃত্বকালী ছুটির দিনে স্বাক্ষর আছে। এমনটি সন্তান প্রসবের দিনেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর।
অভিভাবক সদস্য আব্দুস ছাত্তার, আনিছুর রহমান, ওমর ফারুকসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, সুপার আব্দুল হাকিম মাদ্রাসার শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার চেয়ে কিভাবে দুর্নীতির শীর্ষে পৌছা যায় সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। শিক্ষার মান না থাকায় নতুন তেমন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেনা। শিক্ষার্থী একেবাইে কমে গেছে।
ভূক্তোভোগী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোট ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে মাদ্রসার সুপার আব্দুল হাকিম। টাকা নেওয়ার পর থেকে ৭ বছর বিনা বেতনে খাটিয়ে নিয়েছে। চাকুরী ও বেতন কিছুই পায়নি।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হাকিম বলেন, তিনি কোন আত্মসাৎ, অনিয়মের সঙ্গে জরিত নয়।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..