গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুল হাবিব রিপন: দেশে ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্যতেলের বাজার। এ পরিস্থিতিতে দাম বেশি পাওয়ার আশায় সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলায় এবার ২ হাজার ৫৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
বাজারে তেলের দাম বেশি। তাইতো এবার সরিষার ভালো দাম পাওয়ার আশা চাষিদের । উপজেলার পদুমশহর,ভরতখালী,সাঘাটা,মুক্তিনগর ,কচুয়া ,
ঘুড়িদহ ,হলদিয়া ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শোভা শোভা ছড়াচ্ছে নান্দনিক সরিষার ক্ষেত। হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।হলুদের গালিচায় মোড়ানো সরিষা ক্ষেতে ফুলের ম ম গন্ধে সুবাস ছড়াচ্ছে মাঠের পর মাঠজুড়ে। হিমেল বাতাসে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্য। এ যেন এক হলদে রাজ্যের অপরূপ সৌন্দর্য। দেখেই মনে হয় হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি।
এ উপজেলার কৃষকরা জানান, এবার বাড়তি জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। বাজারে তেলের দাম বেশি, তাই এবার সরিষার ভালো দাম পাওয়ার আশা তাদের।
ফুলছড়ি উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে উন্নত জাত ও আধুনিক চাষের দিকনিদের্শনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
তিনি বলেন, আমন ধান ও বোরো ধান চাষাবাদের মাঝামাঝি সময় বাড়তি ফসল হিসেবে সাধারণত সরিষা আবাদ করেন চাষিরা। খরচ কম লাভ বেশি এমন ফসলের মধ্যে সরিষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন চাষিরা। তাই এবার বাড়তি লাভের আশায় বাড়িয়েছেন চাষের পরিধিও। কৃষি বিভাগ কৃষকদের বারি-১৪, বারি- ১৫, বারি- ১৮ ছাড়াও উন্নত জাতের সরিষার বীজ দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পূর্ণবাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে সরিষা বীজ এক কেজি করে , ১০ কেজি ডিএ সার,১০কেজি মভি সার প্রদান করেছি।তিনি আরো জানান, এখন বাজারে সরিষার মন বিক্রিয় হচ্ছে ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা । পুতি বিঘা জমিতে তিন থেকে চার মন সরিষার আশা করছি। সরিষা চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন ঘরে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও চাষিদের দেয়া হচ্ছে নানা বিষয়ে পরামর্শ।
উল্লেখ্য, উপজেলায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে থেকে রোপণ করা হয় সরিষা বীজ। বারি-১৪, বারি-১৫ ও বারি-১৮ ছাড়াও উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করা হয় ফুলছড়ি এলাকায়। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারিতে এসব সরিষা ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তোলবেন চাষিরা।