বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

চীনের তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
চীনের তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৩
চীনের তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৩

চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৯৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিনহুয়া।

তিব্বত ছাড়াও নেপাল, ভুটান, চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর ভারতে অনুভূত হয়েছে কম্পন। তবে সেসব দেশ এবং অঞ্চল থেকে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও বিবিসি।

ভূমিকম্পের প্রথম আঘাতটি ঘটে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে। প্রথমবার ৬ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন হওয়ার পর কয়েক মিনিট ধরে বেশ কয়েক ডজন ‘আফটার শক’ হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কস সেন্টার। প্রতিটি আফটার শকের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪ কিংবা তারও কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুসারে, ভূকম্পের প্রথম ধাক্কাটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।

সিনহুয়ার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল তিব্বতের টিংরি জেলাশহরের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এপিসেন্টারটি থেকে হিমালয় পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। টিংরি শহরটি মূলত এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রবেশ পথ হিসেবে পরিচিত।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিআরআরএমএ) জানিয়েছে, তিব্বতের সীমান্ত ঘেঁষা দেশটির ৭টি জেলার প্রতিটিতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এনডিআরআরএমএ’র মুখপাত্র দ্বিজন ভট্টরাই রয়টার্সকে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত নেপালে প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাইনি। তবে সীমান্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিব্বত চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বা প্রদেশ। ভূমিকম্পে প্রদেশটির সবেচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শিগাৎসে এলাকায়। এ এলাকায় বসবাস করেন অন্তত ৮ লাখ মানুষ।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক তাৎক্ষণিক ঘোষণায় জানিয়েছেন, নিখোঁজদের সন্ধান এবং উদ্ধারে সর্বাত্মক অভিযান শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে যেন যত শিগগির সম্ভব খাদ্য, তাঁবু ও শীতবস্ত্র সহায়তা দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ততের পূনর্বাসনে সরকার সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com