বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন

আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র
আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

এফডিসি ও চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র (হাসান ইমাম)। এক সময় প্রতিদিন আসতেন কাজের প্রয়োজনে প্রিয় কর্মস্থল প্রাণের বিএফডিসিতে। শুটিং আর ডাবিংয়ের ফাঁকে আড্ডায় মেতে উঠতেন সহকর্মীদের সঙ্গে। আর সোমবার এলেন শেষ বারের মতো। এলেন আর শেষ বিদায়ে সহকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এফডিসি থেকে প্রবীর মিত্রের মরদেহ নেয়া হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী যুগের নায়ক প্রবীর মিত্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীর মিত্রকে। অবস্থা আরও খারাপ হলে আইসিইউতে নেয়া হয় তাকে। ব্লাড লস হয়, প্লাটিলেটও কমে যায়।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন বর্ষিয়ান এই অভিনেতা। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রূপালী জগতে আসেন প্রবীর মিত্র। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কয়েকটি সিনেমায় নায়ক হিসেবে কাজ করলেও পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হন এ অভিনেতা। তবে একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা পদক পাননি তিনি। সবশেষ এ অভিনেতাকে ২০২৩ সালে মুক্তিপাপ্ত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামে একটি সিনেমায় দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ দীর্ঘ ৫ দশকের ক্যারিয়ারে চারশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com