মাহমুদুল হাবিব রিপন গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গোবিন্দগঞ্জে জমি অধিগ্রহণের ৭০ লাখ টাকার চেক প্রকৃত মালিককে না দিয়ে আরেকজনকে অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন জমির মালিকের পাওয়ার অব অ্যাটর্নিপ্রাপ্ত বোয়ালিয়া এলাকার শবনম মোসত্মারি। তিনি এ অপকর্মটির জন্য এলএ শাখার দু’জন সার্ভেয়ারকে দায়ী করেছেন।
লিখিত অভিযোগে শবনম মোস্তারি বলেন, সাসেক সংযোগ প্রকল্প-২ এর আওতায় হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত প্রকল্পের আওতায় গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়া মৌজার এস/এ-৪২৬ নং খতিয়ানভুক্ত ২৬০৫ দাগের জমি সরকার অধিগ্রহণ করা হয়। ওই জমির ১২ শতকের মালিক আমেরিকা প্রবাসী আরিফা করিম তার ভাবী শবনম মোস্তারিকে অ্যাফিডেভিটমূলে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি প্রদান করেন।
সেই অনুযায়ি বোয়ালিয়া মৌজার জেএল নং ২৪১, এসএ খতিয়ান নং ৪২৬, সাবেক দাগ নং ২৬০৫, মোট জমির ৫৩ শতাংশের মধ্যে ১২ শতকের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। কিন্ত সেই জমি দাবি করেন জনৈক সোহরাব হোসেন। এ বিষয়ে তফশীল জমি বাবদ অধিগ্রহণকৃত ৫/১৯-২০ যার মিসকেস নং ৩৮২৪ মামলার শুনানীকালে পাওয়ার অব এ্যাটর্নিসহ ঘোর আপত্তি জানান শবনম মোস্তারি।
পরবর্তীতে ৫/২০১-২০২০ নং এলএ কেসমূলে জমির অধিগ্রহণকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা যেন অন্য কারো নামে প্রদান করা না হয় সেজন্য গত ৫ ডিসেম্বর শবনম মোস্তারি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি ৮ ডিসেম্বর রেজিস্টারভুক্ত হয়। যার নং ৮৫৩/২৪। কিন’ আপত্তি উপেক্ষা ও রেজিস্ট্রিভুক্ত অভিযোগের শুনানী না করে উল্লেখিত সোহরাব হোসেনের নামে ৩০ ডিসেম্বর ৭০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শবনম মোসত্মারি আরও অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার আল আমিন ও কামরুজ্জামান ৭০ লাখ টাকার চেকের জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। কিন’ তিনি ঘুষ না দেয়ায় সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ৭০ লাখ টাকা চেক দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি যথাযথ তদনত্ম করে সোহরাব হোসেনের নামে ৭০ লাখ টাকার চেক স’গিত করার দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শবনমের মামা মো. তৌহিদুল আলম, ইব্রাহিম সরকার।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমাম বলেন, যদি চেক প্রদানে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সোহরাব হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।