রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নন্দীগ্রামে শীতের তীব্রতায় খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েছে গাইবান্ধায় ৭জন হাফেজ ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত ডাসারে বিয়ে অনুষ্ঠান বিষাদে রূপান্তরিত: বোনের বিয়েতে যাওয়া হলো না রেশমার! তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারে রামপালে লায়ন ডক্টর ফরিদুল ইসলাম গাইবান্ধায় শিক্ষা নীতি ও শিক্ষাঙ্গন বিষয়ক মতবিনিময় সভা বাগেরহাটে  সন্ত্রাসীর হামলায় ৪ নারী আহত গাইবান্ধার সুবিধা বঞ্চিত ৯৬ পরিবার পেল বিনামূল্যে টিউবয়েল দুপচাঁচিয়ার প্রতিবন্ধী গোফ্ফার নিখোঁজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তালোড়ায় মুড়াগাছা আলোকিত সমাজের উদ্যোগে পুরস্কার বিতরণ বাগেরহাটে ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের ঘটনায় পুলিশের উপর হামলায় ওসি সহ আহত- ৩

নন্দীগ্রামে শীতের তীব্রতায় খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েছে

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

 

নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের তীব্রতায় খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েছে। যা নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়। নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘরে ঘরে খেজুর রস ও গুড় দিয়ে নানা রকম পিঠাপুলি, ক্ষীর ও পায়েস তৈরির একরকম ধুম পড়েছে। শীতকালের তীব্র শীত উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহ কাজে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রস সংগ্রহকারীরা।

অনেক সুস্বাদু খেজুর রস কড়াইতে ভরে আগুনের চুলাতে অনেকক্ষণ জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় খেজুরের তরল ও পাটারি গুড়। একারণেই শীত চলাকালে খেজুর রস সংগ্রহ কাজে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছে তারা। রস সংগ্রহ করার জন্য প্রতিদিন বিকেলে খেজুর গাছের উপরাংশে মাটির হাঁড়ি লাগানো হয়। পরদিন সকালে খেজুর গাছের উপরাংশ থেকে রসে ভরা হাঁড়ি নামিয় আনা হয়। এভাবেই রস সংগ্রহকারীরা রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি বিক্রয় করে। তা গ্রামে ও হাট-বাজারে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে থাকে তারা। লাভের আশায় অতি গুরুত্বের সাথে নিয়মিত রস সংগ্রহ কাজে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করতে হয় তাদের। কেউ কেউ কাঁচা রস বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটলাল গ্রামের মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেন, হেমন্ত, শীত ও বসন্তকালের ৫ মাস খেজুর গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুর রস খুব সুস্বাদু হবার কারণে আমরা খেজুর রস ও গুড় দিয়ে পিঠাপুলি, ক্ষীর ও পায়েস তৈরি করে খেয়ে থাকি।
খেজুর রস সংগ্রহ করার জন্য গাছিকে দিয়ে খেজুর গাছ ঝুরে হাঁড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করতে হয়। খেজুর রস ও গুড় সবারই খুব প্রিয় তাই এখন চাহিদাও অনেক বেশি রয়েছে। গুড় বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, খেজুরের তরল গুড় প্রতিকেজি ১৮০-২০০ টাকা ও পাটারি গুড় প্রতিকেজি ২৩০-২৫০ টাকা দরে বিক্রয় করছি। এরচেয়ে কমদামেরও খেজুরের গুড় বিক্রয় হয় তা আমার কাছে নেই। আমি সবসময় ভালো মানের খেজুরের গুড় বিক্রয় করি। গুড় ক্রেতা অসিম কুমার রায় বলেন, আমি এসময় বাড়ির জন্য ১৫-২০ কেজি ভালো মানের খেজুর গুড় ক্রয় করি। আমার বাড়ির সবাই খেজুর গুড়ের পিঠাপুলি, ক্ষীর ও পায়েস খেতে পছন্দ করে তাই। তিনি আরো বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে আগামীদিনে আরো অধিকমূল্যে খেজুর রস ও গুড় ক্রয় করতে হবে। খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদার কথা ভেবে খেজুর গাছ লাগানোর জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তবেই আগামীদিনে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা পূরণ হবে। এর পাশাপাশি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য রক্ষা পাবে।
Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com