এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি|| গ্রাম বাংলার আদি সংস্কৃতী ওঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বাগেরহাটে ২দিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে পর্যাটন ফোরামের।বাঙালি সংস্কৃতিতে শীত ঋতু জুড়ে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাসে গ্রাম বাংলার কুষকের বাড়ীর উঠানে উঠানে নতুন ধনের গন্ধে ভরপু, পাড়ায় পাড়ায় এক যোগে চলে নবান্নের উৎসব।বাড়ী বাড়ী পড়ে যায় পিঠা খাওয়ার ধুম,তৈরি হয় কাচিখোচা,পানপিঠা,কুলি,খাজা কুলি,সন্দেশ কুলি,ভাফা,ফুলি,পাটি সাপটা,রস চিতই,দুধ চিতই, তক্তি,দুধতক্তি,ছিটা,ধুপিসহ বাহরী নানান প্রকার পিঠা।
এই পিঠাই আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা রকম পিঠা। যান্ত্রিক জীবনে নতুন প্রজন্ম জানে না অনেক পিঠার নাম। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন উৎসবের আয়োজন। শনিবার (২১ডিসেম্বর)বিকালে সুন্দরবন ট্যুরিস্ট ক্লাব ও পথিক ট্রাবেলস এর সহযোগীতায় বাগেরহাট অম্বিকা চরন (এ.সি) লাহা টাউন হল প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে ২দিন ব্যাপী শ্রক্র ও শনিবার পিঠা উৎসব-১৪৩১ (৫-৬পৌষ)। গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে আরও সুন্দর করে তুলতে আয়োজনের সঙ্গে ছিল হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী গ্রাম্য লোকগীতি গানের অনুষ্ঠান। দর্শনার্থীদের গানের তালে তালে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছিল। পিঠা নিয়ে স্টল বসেছিল ১০টি। বিভিন্ন স্টলে যেসব পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাপা পিঠা,পুলি পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, কলা পিঠা, মালপোয়া,দুধ চিতই পিঠা, পুলি পিঠা (ভাপা) সহ আরও হরেক রকমের পিঠা।২ দিনব্যাপী (শুক্র ও শনিবার) পিঠা উৎসবের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।#