গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুল হাবিব রিপন
নতুন স্বপ্ন মনে ধারণ করে আলুর জমির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। এ উপজেলায় কৃষক ও চাষিরা আলুর চাষে ঝুঁকছে,প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আলু। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপ দিতে মাঠে আলুর জমি কাজ করছেন তারা।গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় এবারও অধিকহারে আলু চাষে ঝাপিয়ে পড়েন চাষিরা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি, লক্ষীপুর ,মালিবাড়ী,ঘাঘয়া,কুপতলা ইউনিয়নে আলুর চাষ বেশি। আলু তোলার ভরা মৌসুম শুরু না হলেও আগাম জাতের আলুর গাছ ভালো রাখতে ও বাম্পার ফলন পাওয়ার আশায় জমিতে প্রতিষেধক হিসেবে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন আলু চাষিরা।অনেকেই আগাছা পরিষ্কারসহ আলুর জমিগুলোতে সেচ (পানি) দিচ্ছে, সব মিলিয়ে তারা আলু গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বোয়ালি ইউনিয়নের কৃষক আরিফ বলেন, দুই একর ১৫ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর বয়স এখন ৩০ দিন হইছে ,এখন মাঝামাঝি বয়স হইতে এখন আমি আলুতে এক্সরে করতেছি এতে করে আলুর গাছ হেলে পড়বে না, ঝুলে পড়বেনা না এবং মোড়ানো রোগ থেকে রক্ষা পাবে। ইতিমধ্যে আমার খরচ হয়েছে তিন লক্ষ টাকা ।
আরো ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত খরচ হইতে পারে।
আলুর ভালো দাম পেলে ৬ লক্ষ হইতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারব। তিনি আরো বলেন এই আলোর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ করবো।
একই এলাকার আলু চাষাবাদ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন খলিলুর রহমান তিনি বলেন, আমি আরিফের আলুর চাষ দেখি আমি নিজেই আগ্রহী হয়েছি। আগামী বছর আমি ছয় থেকে সাত বিঘা আমার নিজের জমিতে আলু চাষ করব।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন জানায়,উপজেলায় ২১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
আগাম আলু চাষ হয়েছে ২৫ হেক্টর জমিতে।নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে সদরে এবার ১৯৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার এবছর আলুর উৎপাদন ব্যাপক পরিমাণে হয়েছে। সাধারণ মানুষ বর্তমানে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করছেন। তিনি আরো জানান, যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে আলু উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। এই সফলতার মাধ্যমে কৃষকদের আয়ের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় বাজারে দাম কমানোর পাশাপাশি কৃষকদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করছে। এ বছরে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন এবং উৎপাদিত আলু সংগ্রহ করছেন।বাজারজাতসহ আমদানির হাড় বৃদ্ধির পেয়েছে। ফলে ক্রেতা দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে তিনি আরো বলেন ,কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে