ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলার কথা ছিল কিউই তারকা টিম সাউদির। দুর্ভাগ্য বিদায়ী সিরিজটা স্মরণীয় করে যেতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ড সিরিজ নিশ্চিত করেছে। তবে শেষ ম্যাচে ইংলিশদের ৪২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ঠিকই বিদায়ী উপহার নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার।
শেষ দুইদিনে ইংল্যান্ডের সামনে ছিল পর্বতসম টার্গেট। ৬৫৮ রান করা বেশ অনেকটা অসম্ভবই তাদের জন্য। বিশেষ করে অধিনায়ক বেন স্টোকস যখন নেই তখন কাজ খানিক কঠিন। আগের দিন বেন ডাকেটকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছিলেন সাউদি। আর আজ পেয়েছেন জ্যাকব বেথেলের উইকেট।
ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ হয়ে সাউদির টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৯১তম শিকার হয়েছেন বেথেল। এদিন অবশ্য নিউজিল্যান্ডের কাজটা সহজ করেছেন মিচেল স্যান্টনার। দিনের প্রথম উইকেট হিসেবে ফিরিয়েছিলেন ৫৪ রান করা জো রুটকে। এরপর পেয়েছেন আরও ৩ উইকেট। কাজের কাজটা ওখানেই করে রেখেছিলেন স্যান্টনার।
ইংল্যান্ডের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। ৪১ বলে ৪৩ রান করেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। কিন্তু রানের পাহাড়ের সামনে ওতটা ইনিংস খুব একটা কার্যকর হয়নি। জয়টা পেয়েছে নিউজিল্যান্ডই। যদিও ক্রো-থর্প সিরিজটা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ইংল্যান্ডই। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচই যে জিতেছিল সফরকারীরা।
হ্যামিল্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩৪৭। স্যান্টনারের ৭৬ আর টম ল্যাথামের ৬৩ রানের পর উইল ইয়াং এবং কেইন উইলিয়ামসনের ৪০ পেরুনো দুই ইনিংস দিয়েছিল বলার মতো পুঁজি। এরপরেই ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড দেখেছে ভরাডুবি। জো রুটের ৩২ ছাড়া আর কেউ ত্রিশের কোটায় যেতেই পারেননি এদিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান বেন স্টোকসের। আর ওলি পোপ করেছেন ২৪।
ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে। নিউজিল্যান্ডের লিড ২০৪ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে এরপর ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। উইল ইয়াং ও ড্যারিল মিচেলের ৬০ রানের পাশাপাশি ১৪৯ রান করেছেন কেইন উইলিয়ামসন।
তাতেই ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৬৫৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৩৪ রানে থামে ইংল্যান্ড। চোটের কারণে বেন স্টোকস ব্যাট করতে না পারায় ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস খেলেছে একজন কম নিয়েই।