সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান হলো বিদ্রোহীদের হাতে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পো দখল করে প্রথমে চমক দেখায় বিদ্রোহীরা। এরপর একের পর এক শহর দখল করতে থাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে। সবশেষ রাজধানী দামেস্ক দখলের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার এই শাসকের পতন দেখলো বিশ্ব।
তার এই পতনের পর স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব নেতারা নিজেদের মতো করে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার দল সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এক্ষেত্রে তারা আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক এক্স বার্তায় বলেন, আসাদ চলে গেছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আসাদের রক্ষাকারী রাশিয়াও তাকে ক্ষমতায় রাখতে এগিয়ে আসেনি। রাশিয়া ও ইরান এখন দুর্বল রাষ্ট্র।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। দামেস্কে আমাদের দূতাবাসেও যোগাযোগ রাখছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিরিয়ায় জাতিসংঘের নিয়োজিত বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন লাখ লাখ সিরীয়র প্রকাশিত স্পষ্ট আকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার সব নাগরিককে সংলাপ, ঐক্য, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।
ফিলিপাইন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে।