চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার জড়িত সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এছাড়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ হওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় এখন পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশের ওপর হামলায় তিনটি এবং একটি হত্যা মামলা।
বুধবার সকালে একাত্তরকে এই তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কাদের।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীর পাথরঘাটা মাথার পট্টি, আন্দরকিল্লা, হাজারি গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাদের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানান নাই।
এদিকে দিনভর সংঘর্ষের ঘটনায় রাত ১০টার পর থেকে নগরজুড়ে চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে আটটায় নিহত আইনজীবী সাইফুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর সকাল ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে বেলা ১১ টায় নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় দফা এবং বাদ আসর গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ায় তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বুধবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের জামিন শুনানির কথা থাকলেও সাইফুল
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আদালত বর্জনের ডাক দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাইফুলের মরদেহ আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।