উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেয়া হলো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মুরাদ ইসলামকে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে নিয়ে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।
চিকিৎসকরা জানান, মুরাদের হাত-পা সচল করার জন্য প্রয়োজন রোবোটিক ফিজিওথেরাপি। দেশে রোবোটিক ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা নেই। এজন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে তাকে।
মো. মুরাদ ইসলাম (৪১) গুলশানের ক্যাফে রিও-র ম্যানেজার ছিলেন। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার ছিলো তার। খুব ইচ্ছে ছিলো ছেলেকে বড় মাপের হাফেজ বানানোর। ১৮ জুলাই বুলেট তাঁর সাজানো সংসার তছনছ করে দেয়।
গত ১৮ জুলাই অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে মিরপুরের সেনপাড়ায় পানির ট্যাংক এলাকায় পৌঁছলে পুলিশের গুলিতে তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই সময় ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মুরাদ। গুলি তার গলার ডান পাশে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। শুরুতে তাকে স্থানীয় আল হেলাল হাসপাতালে ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ভাস্কুলার সমস্যার কারণে পাঠানো হয় হৃদরোগ হাসপাতালে। সেখান থেকে নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল। তিন মাস ধরে মুরাদ ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।