জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় শুরু হয়েছে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আজ রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন দেশসেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল।
এছাড়া টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও ছিলেন। সকালে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে বগুড়া পৌছান তামিম এবং আশরাফুল। এ সময় মাঠে দর্শকদের মধ্যে ছিল উন্মাদনা।
এ সময় তামিম বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ, অনেকদিন পর বগুড়ায় ফিরে ভালো লাগছে। এই স্টেডিয়ামে অনেক স্মৃতি আছে আমাদের সবার। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার সাথে আমাদের প্রথম জয় এই মাঠেই। এই আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ায় আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। যেখানেই স্পোর্টসকে প্রমোট করা হবে, আমরা চেষ্টা করব কিভাবে সঠিক উপায়ে স্পোর্টসকে প্রমোট করা যায়।’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘আমি আশা করি এই টুর্নামেন্ট বেশ সফল হবে। বগুড়া দিয়ে শুরু করছি, ঢাকায় শেষ করব। আপনাদের সবার সহযোগিতা কাম্য। যারা এসেছেন খেলা দেখতে, এটাই বলে দেয় যে ক্রিকেটের প্রতি আপনাদের ভালবাসা কতটা। আশাকরি ২০২৪-২৫ এ বাংলাদেশ দল আবারও এখানে খেলতে আসবে।’
আরেক ক্রিকেটার আশরাফুল বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট প্রত্যেক বছর আয়োজন করা হবে, এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে টিম আসবে। যত বেশি টুর্নামেন্ট খেলা হবে, ততই ভালো প্লেয়ার উঠে আসবে। যে লিগগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আশাকরি সেগুলো আবারও চালু হবে। বগুড়ার যারা আন্তর্জাতিক তারকা আছে, তাদের মতো ক্রিকেটার আরও বেরিয়ে আসবে, আর এই কারণেই কিন্তু এই আয়োজন করা।’
২০টি দল নিয়ে প্রথম পর্বের খেলা হবে দেশের ১০টি ভেন্যুতে। বগুড়া ছাড়াও ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট এবং ঢাকাও (সিটি ক্লাব গ্রাউন্ড) আছে ভেন্যুর তালিকায়। ১০ নভেম্বর বগুড়ায় শুরু হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের খেলা অন্যান্য ভেন্যুতে হবে ১৬ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর মধ্যে।
মূল পর্ব শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি। প্রথম পর্ব শেষে মূল পর্বে উঠে আসা ১০ দলের সঙ্গে যোগ হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নামে আরও দুটি দল। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে মিরপুর শের-ই বাংলার মাঠে।