প্রতারণার অভিযোগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলামকে। গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। কিন্তু অপু বিশ্বাস জানালেন, এ বিষয়ে কিছু জানেনই না তিনি।
সেই প্রযোজকের দাবি, তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও নাকি কথা রাখেননি অপু বিশ্বাস।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। বিষয়টি জানাজানি হলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেওয়া হয়।
সিমির অভিযোগ, চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় তার কাছে। জানানো হয় অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন সিমি। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু সিমি দেখতে পান, তার চ্যানেলে থাকা আগের ভিডিওগুলো নেই।
এ নিয়ে পরে কোনো সমাধান না মেলায় অপু বিশ্বাস, হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রযোজক সিমি।
প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে হিরো আলম এলো কোথা থেকে! এটা সিমিই ভালো বলতে পারবেন। আমি তাকে ঠিকঠাকভাবে চিনিও না। আমি কী উত্তর দিতে পারি বলেন! সে টাকা কোথায় দিলো, কাকে দিলো- কিছুই জানি না। এখন মনগড়া কথা বলছে কেন! আমার আস্থা এই সরকার ও আইনের প্রতি। সে টাকা কোথায় দিয়েছে কেন দিয়েছে, তার কিছুই জানি না।’
অপু বলেন, ‘উনি (সিমি) যদি চলচ্চিত্রের মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে এমনিতেই চলচ্চিত্রের দুরবস্থা; এ সময় এসব সিলি ব্যাপার নিয়ে কেন কথা বলছেন? আর আমি এসব দেখি না। আমার অ্যাডমিন দেখেন।
অফিসিয়ালি তারা ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন। হয়তো নাম আমার। মালিকানা আমার। কিন্তু আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। অন্য সংস্থা দিয়ে চালাই। যদি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতো তাহলে আমি বলতে পারতাম।’