জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গেল কয়েক বছর ক্যারিয়ারের বেশ সুসময় পার করছেন তিনি। দেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে যারা নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এই অভিনেত্রী। ‘রেহনুমা মরিয়ম নূর’ সিনেমার কল্যাণে বদলে গেল বাঁধনের গতিপথ। দেশের বাইরেও কাজ করেছেন তিনি। কলকাতা ও হলিউডের সিনেমায় দর্শকের কাছে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
কিন্তু অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে চাকচিক্যের ঝাপটা লাগলেও তার ব্যক্তিগত জীবনে রয়ে গেছে খানিকটা অপূর্ণতা। এই মুহূর্তে সিংগেল মাদার হিসেবে জীবনযাপন করছেন অভিনেত্রী বাঁধন। একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়েই কাটছে তার জীবন। কাজেই অভিনেত্রীর আক্ষেপটা কোথায় তা অন্তত বুঝতে বাকি নেই।
গত সোমবার অভিনেত্রীর ৪১তম জন্মদিনে মোটামুটি খোলাসাই করেছিলেন বিষয়টি । বাঁধন জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে সায়রা চায় মায়ের জীবনে কেউ আসুক। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি নিয়ে সোজা মুখ খুললেন তিনি। জানালেন, আবার নতুন করে, নতুনভাবে পথচলা শুরু করতে চান অভিনেত্রী।
মেয়ের বায়না তুলে ধরে বাঁধন বললেন, আমার মেয়ে তো এখন বড় হয়েছে। মায়ের সবকিছুই একা করতে হয়, কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়- ও বুঝছে। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।
বাঁধন বললেন, ‘এখন অনেক বেশি মনে করি যে একজন জীবনসঙ্গী থাকতেই পারে।’ কেমন জীবনসঙ্গী চান, সে বিষয়ে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। জীবনসঙ্গী শব্দটা যে বুঝবে, সে রকম কেউ যদি আসে, নিঃসন্দেহে সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে পথচলা যাবে।’
চল্লিশের কোটায় এসেও বিয়ের পরিকল্পনা সামনে আনার কারণ অকপটে তুলে ধরেছেন বাঁধন। অভিনেত্রীর কথায়, ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো, এখন অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট।
অতীত নিয়ে আক্ষেপ করে বাঁধন বললেন, ‘বিয়ে হোক বা যাই হোক, আমার জীবনের পথচলায় কখনও সত্যিকারের একজন সঙ্গী পেয়েছি । সব সময় হয় একজন দানব পেয়েছি, না হলে যে আমাকে অত্যাচার করছে, এ রকম মানুষ পেয়েছি। আমাকে অ্যাবিউজ করছে, এ রকম মানুষই পেয়েছি। তাই ওই অর্থে আমি কোনো জীবনসঙ্গী পাইনি, এটা সত্যি। সব মিলিয়ে এখন মনে হয়েছে, পথচলার একজন সঙ্গী হতেই পারে।’