মোঃ মাহমুদুল হাবিব রিপন গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সমপাদনে গ্রাহকদের কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করাসহ সিন্ডিকেটের ভাঙার পদক্ষেপ নেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে সদর সাব রেজিষ্ট্রার মেহেদী হাসান। দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সকল অপকর্ম এবং অবৈধভাবে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাব রেজিষ্ট্রারকে বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ চক্র। সোমবার সকালে গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিষ্ট্রার মো. মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উলেস্নখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উলেস্নখ করা হয় গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস একসময় অনিয়ম-দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছিল। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ওই সিন্ডিকেট ও দালালদের নির্মূল করাসহ দফতরে সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সাব রেজিস্ট্রার।
মেহেদী হাসানের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো হলো- দীর্ঘদিন যাবৎ দলিল সমপাদনে দলিল লেখক সমিতির নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ, সাব রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর জাল করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাবেদা নকল সরবরাহের দায়ে দালালের বিরম্নদ্ধে মামলা, ২০২৩ এর পূর্বের সাব রেজিস্ট্রারদের সময়কালে পেঅর্ডার/দলিল জমা না করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা উদঘাটন, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধে ২০০২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বালামভুক্ত না হওয়া প্রায় দুই শতাধিক দলিল চলমান সময়ে বালামভুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ, সেবা প্রত্যাশী ও জনভোগান্তি কমাতে ১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী সময়ের প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম সূচি বহি সমূহের পূর্ণকলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবসা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি ও আর্থিক আবেদন, অফিসের সংশ্লিষ্টদের মৌখিক এবং নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসব কারণে সাব রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাভাবে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের প্রচেষ্টা মোতাবেক সমপ্রতি “ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী” শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট ভার্ষণে” শুধু ঘুষ দিলেই কাজ করেন, না দিলে করেন নানা টালবাহানা।” শিরোনামে সমপূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
পদক্ষেপের বিষয়ে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রবীন দলিল লেখক মহসিন আলী সরকার, আবুল হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ আরো একাধিক দলিল লেখক বলেন, ‘মেহেদী স্যার আসার পর থেকে আমরা অনেক শানি-তে আছি। আমাদের ওপর এখন কোন জোর-জবরদস্তি, জুলুম নাই। এরআগেও অনেক অফিসার গেছেন কিন’ এইবার এই স্যারের নানা পদক্ষেপের কারণে ধীরে ধীরে দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে’।
সাব রেজিষ্ট্রার মেহেদী হাসানের এসব পদক্ষেপের বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি যেসব সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। মেহেদী হাসান দীর্ঘদিনের একটি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন। যার ফলে বর্তমানে মানুষ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেনা এবং কোথাও অতিরিক্ত অর্থও দেওয়া লাগছে না। এসময় তিনি আরও বলেন শুধু আমি না আমার পূর্বেরও যেকোনো অফিসার তার সমপর্কে ভালো বলতে হবে।