পাকিস্তানের করাচি জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় ভয়াবহ বোমা হামলায় দুই চীনা ও এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। বোমা হামলার পর থেকে জিন্নাহ বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ বন্ধ করে দিয়েছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ। রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বোমাটি আইইডি ধরনের ছিল বলে জানিয়েছেন করাচি পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগের কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “বোমাটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। করাচির বহু এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।”
এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে সোমবার সকালে এক বিৃবতিতে পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস বলেছে, নিহত দুই চীনা নাগরিক করাচির বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প পোর্ট কাসিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। ছুটি নিয়ে দেশে আসার জন্য বিমানবন্দরে এসছিলেন তারা, তারা বিমানবন্দরে আসার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ।
বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ উল্লেখ করে এর যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওয়াতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।
করাচি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোমা বিস্ফোরণের জেরে বিমানবন্দরে অবস্থানরত অন্তত ৭টি গাড়িতে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে গিয়েছিল। করাচি পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক আজফার মাহেসার জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের জন্য কারা দায়ী, তা এখনও জানা যায়নি এবং বিস্ফোরণের যে ধরন, তাতে প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে সময় লাগবে।
এদিকে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে জিন্নাহ বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ বন্ধ করে দিয়েছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ।