৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় টার্গেট করে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যকে শনাক্তের পর হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত এপিবিএন-১৩ উত্তরা পূর্বের পদমর্যাদার কনস্টেবল সুজনকে এপিবিএনের পক্ষ থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর ডিবি পুলিশ তাকে শাহবাগ থানার দায়ের করা ৯নং হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপর পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় গুলি চালানোর চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রচারের পর অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এপিবিএন কনস্টেবল সুজন হেফাজতে রয়েছেন। সরকারি বাহিনীতে কর্মরত কাউকে গ্রেপ্তার করতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনুমতির বিষয় রয়েছে, সেই বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ওই দিন শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ, এতে মারা যান বেশ কয়েকজন। এ সময় তৎকালীন রমনা জোনের অতিরিক্ত-উপ পুলিশ কমিশনার আখতার হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার মানুষকে নিশানা করে গুলি করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এর মধ্যে ক্লিয়ার একটি ফুটেজে এপিবিএন-১৩ সদস্য কনস্টেবল সুজন রয়েছেন।