শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ মেম্বরদের দুপচাঁচিয়ার গুনাহারে ফ্রি ডেন্টাল ও মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন দুপচাঁচিয়ায় ইউথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওয়ান নাইট ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত অবিদীয় মার্ডি হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য ১০ বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বজনরা বাগেরহাটের রামপালে জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পীরগঞ্জে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ সান্তাহারে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন আদমদীঘিতে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল চোরের নন্দীগ্রামে চোরাই গরুসহ চোর আটক ফুলবাড়ীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

বন্যায় ২৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত

একাত্তরের দেশ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৯
বন্যায় ২৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যায় ২৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত

সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১টি জেলায় প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুই হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবসহ অন্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বাজেট সমন্বয় করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালীর ৭৬৩, লক্ষ্মীপুরের ৫০১, ফেনীর ৫৫০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২, কুমিল্লার ৫২৩, চাঁদপুরের ১৬৯, চট্টগ্রামের ১৬৪, মৌলভীবাজারের ৭৭, সিলেটের ৮ ও হবিগঞ্জের ২২টি। খাগড়াছড়িতে কোনো বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১৮ উপজেলার ৯৪৬ শিখন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক অকস্মাৎ বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’ সংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের সময়ে কাজগুলো ইমার্জেন্সি বেসিসে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো।

সভায় জানানো হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৩৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান। ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজীর ৫৮২টি বিদ্যালয়ে ৯৭ হাজার ৫৫৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তক হতে ২৪ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গুদামে থাকা পাঠ্যপুস্তক থেকে সেগুলো সমন্বয় করা হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫৫৯টি বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৮১০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলো সমন্বয় কার্যক্রম চলমান।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১০০টি বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৬০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোর সমন্বয় করা হয়েছে। হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, জেলায় বন্যায় কোনো পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তকের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা প্রকৌশলী, শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে সঠিকভাবে নিরূপণ করবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের তালিকা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। বিদ্যালয়গুলোয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার সংগ্রহসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com