সব সরকারি কর্মচারীকে প্রতি বছর সম্পদের হিসাব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবকে আহ্বায়ক করে এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, তাদেরকে আমরা একটি টাইমলাইন দেব, ন্যূনতম সময়। তারা একটি ফরমেট রেডি করবে।
তিনি জানান, আগামী সাতদিনের ভেতর কমিটি ফরমেশনের রিপোর্ট বা ফর্মটা কী হবে, সেটা দেবে। ফর্মটা বাংলায় করে দেব। সাতদিনের মধ্যে না হলে আরও সাতদিন সময় দেওয়া হবে। টাইমলাইন বলা থাকবে কবে জমা দেবে। প্রতিবছর বলে দেব হয় তো পহেলা জানুয়ারি অথবা পহেলা জুলাই।
সিনিয়র সচিব বলেন, সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কি হবে সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেব, দণ্ডটা কী হবে, তার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেগেটিভিটি না বললে পজিটিভি জিনিস আসবে না। জমা না দিলেও যা, তা যদি হয়, তাহলে আমি জমা দেব কেন? জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কি সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেব তখন বলে দেব।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানেন না অনেকে। সরকারি চাকরির আচরণ বিধিমালার তোয়াক্কাই করেন না তারা। আর যাদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার কথা, সংশ্লিষ্ট সেই কর্তৃপক্ষও এক্ষেত্রে এতদিন বেশ উদাসীন ছিল। এ বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের আচরণবিধি ক্ষুণ্ন হলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এ কারণে সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয় চরম অনীহা।