মাহমুদুল হাবিব রিপন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা পলাশবাড়ির উপজেলার ৬৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার সংঘর্ষর ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
শনিবার উপজেলার কালুগাড়ি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মিজানুর রহমান কাজল (৪০)
হানিফা বেগম (২৭) ও সোহাগ মিয়া। তাদের সবার বাড়ি কালুগাড়ি গ্রামে।
এ ঘটনায় আজগার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান কাজল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায় পলাশবাড়ী থানাধীন কালুগাড়ী মৌজায় মোঃ মিজানুর রহমান কাজল, পিতা-মোঃ আজগার আলী, সাং- কালুগাড়ী, থানা-পলাশবাড়ী, জেলাঃ গাইবান্ধার মালিকানাধীন জমি চাষাবাদ করিয়া আমন ধানের চারা রোপন করার সময় মোঃ মধু মিয়া, ইউনুছ আলী উভয় পিতা-মৃত ছপিম উদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন পিতা-মোঃ ইউনুছ আলী, মোঃ খাজা মিয়া পিতা-মৃত ছলিম উদ্দিন, মোঃ কাজী হায়াত, মোঃ বিপ্লব মিয়া, উভয় পিতা-মো: খাজা মিয়া, মোঃ ফরিদুল ইসলাম পিতা-মোঃ মধু মিয়া, মোঃ ফারুকগনের অন্যায় কাজে বাধা নিষেধ করিলে তারা মোঃ মিজানুর রহমান কাজলকে মারপিট খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে । মোঃ মিজানুর রহমান কাজল অন্যায় কাজের কারণ জানতে চাওয়ামাত্র তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ পূর্বক মারপিট করার জন্য আগাইয়া আসিলে সে প্রাণ ভয়ে দৌড়িয়ে তার বসতবাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিলে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ তার পিছনে ধাওয়া করে বসতবাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে লাঠি ও লোহার রড দ্বারা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া কালশিরা ফুলা জখম করে। মোঃ আনোয়ার হোসেন এর হাতে থাকা চাইনিচ কুড়াল দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ মিজানুর রহমান কাজল এর আমার মাথায় চোট মারিলে উক্ত চোট মাথার পিছনে মাঝ বরাবর লাগিয়া গুরুত্বর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। (উক্ত স্থানে ৭টি সেলাই আছে)। মোঃ মিজানুর রহমান কাজল মাটিতে পরিয়ে গেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম এর হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় চোট মারিলে উক্ত চোট তার দাড়িতে লাগিয়া গুরুত্বর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। (উক্ত স্থানে ২টি সেলাই আছে)। মোঃ মিজানুর রহমান কাজল এর চিৎকারে তার স্ত্রী মোছা: হানিফা বেগম ও তার ছোট ভাই মোঃ সোহাগ মিয়া আগানোর চেষ্টা করিলে, মোঃ খাজা মিয়ার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা মোঃ মিজানুর রহমানের ছোট ভাই সোহাগকেও এলোপাথারী মারপিট করিলে তার ভিন্ন স্থানে কালশিরা ফুলা জখম হয়। কাজী হায়াত এর হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা মিজানুর রহমানের স্ত্রী হানিফা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় চোট মারিলে উক্ত চোট তার স্ত্রী তার দুই হাত দ্বারা ঠেকাইলে তার ডান হাতের কব্জিতে লাণিয়া গুরুত্বর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। (উক্ত স্থানে ০৩টি সেলাই আছে)। মোঃ বিপ্লব মিয়া মিজানুর রহমানের স্ত্রীর পড়নের কাপড় চৌঁপর টানা হেচরা করিয়া বিবস্ত্র করতঃ শ্রীলতাহানী ঘটায় ।