রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ভয়াবহ ব্যাটিংধসের পর লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন। চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করলেন। ১৭১ বল খেলে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পর বাংলাদেশ টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। একের পর এক উইকেট পতনে দল যখন ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে, তখনই দৃঢ়তার পরিচয় দেন লিটন দাস এবং মিরাজ। দুজনের সেঞ্চুরির পথে থাকা ১৬৫ রানের জুটি বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে সহায়তা করে।
লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। ৭৮ রান করে ফিরে গেলেও দলকে দেখিয়েছেন পথ। লিটন মাঝে ক্র্যাম্পে পড়লেও ঠিকই উঠে দাঁড়িয়ে খেলেছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কক্ষপথে আছে তার ওই দারুণ শতকের সুবাদেই।
এদিনের সেঞ্চুরিতে এক ভিন্ন রকমের রেকর্ডেও নাম উঠেছে লিটনের। ৫০ রানের আগে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নেমে তিনবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। এমন কীর্তি নেই আর কারোরই।
এছাড়া মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটিতে বিশ্বরেকর্ডও করেছেন লিটন কুমার দাস। এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল।