হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ কর্তৃক সরকারী পুকুর হিসাবে কানাহার পুকুর প্রতি ৩ বছরের জন্য লিজ আকারে গ্রহন করেন ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সেই লিজকৃত কানাহার পুকুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অবৈধ্য ভাবে সাব লিজ দিয়েই পুকুর ও পুকুরের পাড়ে থাকা কবর গুলো ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুুটি কমান্ডার ইছার উদ্দিন বলেন, আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে কানাহার পুকুর লিজ আকারে গ্রহন করি। লিজ বাবদ প্রতি ৩ বছরের জন্য ৬ লক্ষ টাকা সরকারের খাতায় জমা দেই। এবং যে যেহেতু আমরা পুকুরে নিজেরা মাছ চাষ করতে পারিনা। তাই প্রতিবারে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বুলু নামে এক ব্যাক্তির কাছে ১৭ লক্ষ টাকায় সাব লিজ দিয়ে থাকি। সেই ১৭ লক্ষ টাকা আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে ও বিশেষ দিন উদযাপনে খরচ করে থাকি।
শিবনগর ইউপি‘র ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরু হোসেন বলেন, আমরা দির্ঘদিন যাব শুনে আসছি মুক্তিযোদ্ধারা এই পুকুর করে খায়। যে কারনে আমরা এই পুকুর নিয়ে তেমন একটা ভাবিনা। তবে ১৫ বছর আগে যে পুকুর আমি দেখেছি সেই পুকুরের পরিধি ও পানি বর্তমানে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পুকুরের পাড় ভেঙ্গে গেছে। পুকুরের দুই পাড়ে থাকা কবরস্থান গুলো ভেঙ্গে পুকুরে ঢুকতে শুরু করেছে। পরে জানতে পারলাম মুক্তিযোদ্ধা পুকুর লিজ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যাক্তির নিকট সাব লিজ দেয়। সাব লিজকৃত ব্যাক্তি তার সুবিধার্থে তার মতো করে মাছ চাষ করে সেকারন পুকুর ও কবরস্থানের এই অবস্থা। যারা নিজে চাষ করতে পারেনা তারা পুকুর নেয় কেনো। দেশের সুর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা এমন অনিয়ম হবে আমি ভাবতেই পারছিনা। অনতিবিলম্বে এই অবৈধ্য লিজ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে দ্রæত সময়ের মধ্যে কানাহারের কবর গুলো রক্ষার প্রশাসন যাতে ব্যবস্থা গ্রহন করেন তার দাবিও জানাচ্ছি। এমন কথা বলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক,মেহীদসহ অনেকে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল বলেন, আমার জানা মতে কানাহার পুকুর ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে লিজ নেওয়া আছে তিন বছরের জন্য লিজ নিতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় বলে আমি জানি। কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সেই লিজ নেওয়া কানাহার পুকুর আবার কাউকে সাব লিজ দিয়ে থাকে তা আমার জানা নাই। কোন লিজধারী ব্যাক্তি বা সংস্থা তার নামে লিজ নিয়ে অন্য কাউকে সাব লিজ দিতে পারে না এটা অবৈধ্য। যদি এমনটা হয় এবং তা প্রমানিত হয় । তাহলে তাদের লিজ বাতিল হবে এবং পুকুর তৎক্ষতাৎ উপজেলার নিয়ন্ত্রনে নেওয়া হবে।