ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সেই প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাকর্মীরাও। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিজেপির নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিজেপির একাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া সমাজবাদী ইউনিটি সেন্টার অব ইন্ডিয়ার (কমিউনিস্ট) সঙ্গে হাজরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। তারাও চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধ বিক্ষোভ করছিল।
কলকাতার চিকিৎসককে নৃসংসভাবে হত্যার এ ঘটনায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের চিকিৎসকরা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। এ কারণে রাজস্থানের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছে।
সাওয়াই মান সিং হসপিটাল মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা পুরোপুরি কর্মবিরতি পালন করছেন। এছাড়া অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা র্যালি করার পরিকল্পনা করছেন।
পাটনার ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যতদিন পর্যন্ত কলকাতার ওই নারী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হচ্ছে ততদিন তারা কাজে ফিরবেন না। এই হাসপাতালটির জরুরি বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কলকাতার পুলিশ জানিয়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজে পরশু রাতে যারা ভাঙচুর চালিয়েছিল তাদের মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ২২ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশি রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করা হয়। ওইদিন রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এসব দুর্বৃত্ত হাসপাতালটির নার্সিং স্টেশন, মেডিসিন স্টোর এবং বহির্বিভাগের একটি অংশে ভাঙচুর চালায়।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়।