নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী। বিস্মিত হয়েছেন এই জেনারেশনের শিক্ষার্থীদের শক্তি দেখে। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল ১৯৮০ সালে যখন তরুণ ছিলাম, আমরাই সাহসী ছিলাম। ৯০-এর গণ-আন্দোলনও চোখের সামনে দেখেছি। কিন্তু ২০২৪-এর আন্দোলন দেখলাম; এতে মনে হয়েছে, এই জেনারেশন সবচেয়ে বেশি সাহসী।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে ভেবেছিলাম, এখনকার ছেলেমেয়েরা ঘরকুনো, রাত জাগে, ফেসবুকসহ অনেক কিছুতে আসক্ত। ওদের ওপর ভরসা ছিল না। কিন্তু শুধু আমার কেন, গোটা দেশের মানুষের ধারণা পাল্টে দিয়ে তারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ কারণে ওদের প্রতি আমার স্যালুট। ’
একটা উদাহরণ টেনে ওমর সানী বলেন, ‘আসিফ মাহমুদ (যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা) হওয়ায় অনেকে মনে করছে, সাকিব আল হাসানের দিন শেষ। কারণ সে দলীয় প্রতীক। কিন্তু না, সাকিবকে দেশের সম্মানের জন্য খেলতে হবে। নতুন দল ঘোষণায় তাকে রাখা হয়েছে। এটা যদি আগের জেনারেশনের কেউ উপদেষ্টা থাকতেন তাহলে হয়তো সাকিবকে বাদ দিয়ে দিতেন। এখানে তারুণ্য আলাদা।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ জানান ওমর সানী। নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘রাষ্ট্র বলে দেন আমরা কী খাব? খাবারের লিস্ট দিয়ে দেন, আর পারছি না।’
তার এই পোস্টের কারণে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন এই নায়ক। তিনি বলেন, ‘ ওই স্ট্যাটাসের পর মিন্টো রোডে (ডিবি কার্যালয়) আমাকে ডাকা হয়েছিল। তবে তারা আমাকে ঝামেলায় ফেলেনি। পোস্টটি ডিলিট করতে বলেছিল, কিন্তু তা করিনি।’