দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী, পরিবার ও মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউর পক্ষ থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান খান, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান এবং মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক হিসাব বন্ধ থাকবে।
চিঠিতে আসাদুজ্জামান খান, তার পরিবারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না সংশ্লিষ্টরা। প্রয়োজনে জব্দ রাখার সময় আরও বাড়ানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে, সেটিও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।